Last Updated on [modified_date_only] by Sabyasachi Bhattacharya
কে টিভি বাংলা ডিজিটাল: দেশের হয়ে দ্রুততম অর্ধ শতরান করলেন স্বর্ণা, তবু হারতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। ১৮ বছর বয়সী স্বর্ণা দেশের হয়ে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির নজির গড়লেন (ICC World Cup)।
লড়াই করেও জয় অধরা (ICC World Cup)
ICCমেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দুর্দান্ত ইনিংস খেলতে দেখা গিয়েছে। তবে সোমবার বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে নজর করলেন ১৮ বছর বয়সী স্বর্ণা আক্তার। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন এই তরুণ প্রতিভা। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম অর্ধ শতরানের রেকর্ডও করলেন নিজের নামে। ৩৫ বলে স্বর্ণার ঝোড়ো ইনিংস বাংলাদেশকে পৌঁছে দেয় লড়াই করার মতো জায়গায়। তবে জয়ের শেষ হাসি হাসে দক্ষিণ আফ্রিকাই। ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা (ICC World Cup)।
টস জিতে প্রথম ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের শুরুটা হয় মন্থর গতিতে। পার্টনারশিপে ভাল রান উঠলেও গতি ছিল অত্যন্ত ধীর। সেই সময়েই ব্যাটে ঝড় তোলেন স্বর্ণা। বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করতে নেমে ফারজানা হক করেন ৩০ রান এবং রুবিয়া হায়দার করেন ২৫ রান। প্রথম উইকেটে ৫৩ রান এলেও সেটা করতে সময় লাগে ১৬.১ ওভার। তিনি নেমে শারমিন আক্তার ৭৭ বলে করেন ৫০ রান।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা করেন ৩২ রান। তবে মন্থর গতির ছবি পাল্টে দেন স্বর্ণা। ৩টি ছয় ও ৩টি চার দিয়ে সাজানো তার দাপুটে ইনিংস। তিনি ৫১ রান তোলেন ৩৫৬ বলে। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৩২ রান। স্বর্ণা নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ৩৪ বলে। যা বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ড ছিল অধিনায়ক নিগার সুলতানার নামে।

আরও পড়ুন: Boro Maa Naihati: কালীপুজোয় নৈহাটিতে দর্শনার্থীর ঢল! এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম বন্ধ কেন?
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিকে কিছুটা নড়বড়ে দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রথম উইকেট পড়ে মাত্র ৩ রানে। প্রোটিয়াদের ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ৭৮ রানে। তবে তারপর দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে দাঁড়ায় মারিজানা কাপ এবং ক্লোয়ি ট্রিয়নের হাত ধরে। তারা ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ৮৫ রান। মারিজানা কাপ করেন ৫৬ রান এবং ক্লোয়ি ট্রিয়ন করেন ৬৯ বলে ৬২ রান। আটে নেমে ডি’ক্লার্ক করেন ২৯ বলে ৩৭ রান। ৩ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচ জিতে তিনি উঠে এল দক্ষিণ আফ্রিকা। যার ফলে ভারত নেমে যায় চার নম্বরে (ICC World Cup)।


