Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
কে টিভি বাংলা ডিজিটাল: পুণে শহরের জনবহুল অঞ্চলে আবারও এক হৃদয়বিদারক (Pune Navale Bridge Accident) দুর্ঘটনা ঘটে গেল। নবলে ব্রিজ এলাকায় শুক্রবার গভীর রাতে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনার দৃশ্য এতটাই ভয়াবহ ছিল যে মুহূর্তে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একের পর এক গাড়ির সংঘর্ষের পর কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়, যার জেরে অন্তত সাত থেকে আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহতদের সংখ্যা ২০ জনের কাছাকাছি বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তাঁদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এবং অধিকাংশের অবস্থাই স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা (Pune Navale Bridge Accident)
দুর্ঘটনা ঘটতেই দমকল বাহিনীর একাধিক ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে (Pune Navale Bridge Accident) পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ সময় লাগে, কারণ দুইটি কনটেইনার ট্রাকের মাঝখানে চাপা পড়ে থাকা একটি গাড়ি ভয়াবহভাবে জ্বলছিল। প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে, ওই গাড়িটিতে একটি পরিবার ভ্রমণ করছিল। সংঘর্ষের তীব্রতায় গাড়িটি বের করার কোনো সুযোগই ছিল না, ফলে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

ট্রাকচালকের মৃত্যু (Pune Navale Bridge Accident)
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি-নবলে ব্রিজ দীর্ঘদিন ধরেই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে (Pune Navale Bridge Accident) পরিচিত। রাস্তাটি ঢালু হওয়ায় ভারী গাড়িগুলির নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তেও উঠে এসেছে একই তথ্য। রাজস্থানের নম্বরপ্লেটযুক্ত একটি ট্রাক সাতারা দিক থেকে পুণের দিকে আসার সময় হঠাৎ ব্রেক ফেল হয়ে যায়। ব্রেকের দাগ রাস্তার উপর স্পষ্ট দেখা গেছে, যা দুর্ঘটনার পূর্ব মুহূর্তের তীব্র চাপের ইঙ্গিত দেয়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি সামনে থাকা কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিতে দিতে এগিয়ে গিয়ে একটি কনটেইনারের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। কনটেইনারের সামনে থাকা ছোট গাড়িটি ট্রাক ও কনটেইনারের মাঝে চেপে গিয়ে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। ট্রাকচালকেরও মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: 14 November Horoscope: ১৪ নভেম্বর ২০২৫-কোন রাশির ভাগ্যে খুলবে শুভযোগ?
এই ভয়াবহ ঘটনার পর স্থানীয় নেতা ও সমাজকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রাক্তন মেয়র ও রাজনৈতিক ব্যক্তি বসন্ত মোরে জানিয়েছেন, শুধু ক্যামেরা বসিয়ে বা ট্র্যাফিক রেকর্ড করেই সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায় না-এখানে প্রয়োজন ছিল আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নিয়মিত পুলিশি নজরদারি ও গতিনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। তাঁর অভিযোগ, মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার গাফিলতিতেই বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে, প্রাক্তন বিধায়ক রবি ধাঙ্গেকার ঘটনাটির উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।


