Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ওয়াশিংটন এবং ইসলামাবাদের কূটনৈতিক সমীকরণ ফের আলোচনার কেন্দ্রে(Asim Munir US Visit)। চলতি মাসে ফের আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। এটি তাঁর গত দু’মাসের মধ্যে দ্বিতীয় আমেরিকা সফর, যা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক আবহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমন সময় এই সফর হতে চলেছে, যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়া থেকে তেল আমদানির অভিযোগে ভারতের উপর আরও ২৫ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।
কেন এই সফর? (Asim Munir US Visit)
সূত্রের খবর, মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের বিদায়ী কমান্ডার জেনারেল মাইকেল কুরিল্লার বিদায় সংবর্ধনায় যোগ দিতেই মূলত মুনিরের এই সফর(Asim Munir US Visit)। তবে একে শুধুমাত্র সৌজন্যমূলক সফর বলে মনে করছে না কূটনৈতিক মহল। কারণ, কুরিল্লা অতীতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন এবং ইসলামাবাদকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, কুরিল্লার সময়কালে পেন্টাগনের গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাকিস্তান আইএস-খোরাসানের পাঁচ জঙ্গিকে আটক করতে সক্ষম হয়। এই সাফল্যের জন্য কুরিল্লা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন এবং ইসলামাবাদ তাঁকে ‘নিশান-এ-ইমতিয়াজ়’-এ ভূষিত করে। কূটনৈতিক মহলের মতে, এই সৌজন্য বিনিময় হলেও এর গভীরে রয়েছে কৌশলগত বার্তা—বিশেষ করে যখন ভারত পহেলগাঁও সন্ত্রাস হামলার পর পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোণঠাসা করার কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের প্রস্তাব মুনিরের (Asim Munir US Visit)
এই সফরের প্রেক্ষাপটে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, গত জুন মাসে পহেলগাঁও হামলার ঠিক পরেই আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন মুনির এবং ট্রাম্পের সঙ্গে একান্ত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন(Asim Munir US Visit)। সেই প্রথম কোনও সরকারি প্রতিনিধি ছাড়াই কোনও পাক সেনাপ্রধানকে স্বাগত জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান সরকারের তরফে ট্রাম্পকে শান্তিরক্ষার জন্য নোবেল পুরস্কারের প্রস্তাব দেওয়ার পেছনেও মুনিরের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
এই আবহে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানের উপর প্রযুক্ত পারস্পরিক শুল্ক কমিয়ে ১৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে কম। পাশাপাশি ট্রাম্প (Donald J. Trump) জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ‘বিশাল তেলভান্ডার’ উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যদিও, পাকিস্তানে আদৌ এমন কোনও ভাণ্ডার রয়েছে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

আমেরিকা-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন মোড়? (Asim Munir US Visit)
সব মিলিয়ে, আমেরিকা-পাকিস্তান সম্পর্ক ফের ঘনিষ্ঠ হতে চলেছে বলে অনেকেই মনে করছেন(Asim Munir US Visit)। এই সম্পর্ক কতটা গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়, তা নির্ভর করবে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার ভবিষ্যৎ বাণিজ্য ও কৌশলগত সম্পর্কের উপরেও। তবে এই মুহূর্তে মুনিরের এই সফর যে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক পটপরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই।


