Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: লাদাখের বুকে ফের প্রতিবাদের (Ladakh Protest) আগুন। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে লাদাখবাসী। এবার সেই ক্ষোভ বুধবার রাস্তায় নেমে ভয়াবহ রূপ নেয়। লেহ অ্যাপেক্স বডির যুব শাখার ডাকে আয়োজিত এক প্রতিবাদ কর্মসূচি আচমকাই সহিংস হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে চারজনের, আহত অন্তত ৭০ জন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জারি করা হয়েছে কার্ফু।
কী কী দাবি? (Ladakh Protest)
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এতদিনেও তাঁদের প্রধান দাবি-লাদাখকে (Ladakh Protest) পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া-কোনওভাবেই পূরণ হয়নি। সেই সঙ্গে তাঁরা চাইছেন সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় লাদাখকে আনা হোক, যাতে এই অঞ্চলটির সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য সংরক্ষিত থাকে।
কার নেতৃত্বে প্রতিবাদ? (Ladakh Protest)
এই দাবির পেছনে রয়েছেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক (Ladakh Protest), যিনি ইতিমধ্যেই লেহ-র বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মিলে ৩৫ দিনের অনশনে বসেছেন। আন্দোলন শুরু হয়েছিল শান্তিপূর্ণভাবে, তবে বুধবার তা হঠাৎই হিংসাত্মক রূপ নেয়। বিক্ষোভ চলাকালীন লেহ-তে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, পুলিশ ভ্যানেও অগ্নিসংযোগ হয়। ওয়াংচুক যদিও এই সহিংস পথের বিরোধিতা করেছেন।
ইতিহাস কী বলছে?
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে পৃথক হয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয় লাদাখ। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচন হয়ে সরকার গঠন হলেও, লাদাখ এখনও সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। সেই কারণেই স্থানীয়দের মধ্যে বঞ্চনার অনুভূতি গভীর হয়েছে।
আরও পড়ুন: Waterlogging in Kolkata: জলজটে নাকাল শহর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক, সংযুক্ত এলাকাতেই এখনও মূল সমস্যা
আন্দোলন শুধু লেহ নয়, কার্গিলেও ছড়িয়ে পড়েছে। মুসলিমপ্রধান কার্গিলের কেডিএ (কার্গিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স) সংগঠন এই আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার তারা ডেকেছে লাদাখ বন্ধ। দাবির তালিকায় আরও রয়েছে লাদাখের যুব সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন এবং কেন্দ্রীয় সংসদে একটি লোকসভার আসন বাড়িয়ে দুইটি করা।


