Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলা জেলার উরি সেক্টরে মঙ্গলবার গভীর রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে; ঘটনায় এক ভারতীয় সেনা শহিদ হন(Indian Army)। সেনাবাহিনীর সতর্কতা ও তৎপরতার ফলে জঙ্গিদের হামলার পরিকল্পনা ভেঙে পড়ে এবং বড় ধরনের ক্ষতি আড়াল করা সম্ভব হয়।
অভিযানের পটভূমি ও ঘটনার বর্ণনা (Indian Army)
প্রাথমিক সূত্রে জানা যায়, একদল মদতপ্রাপ্ত জঙ্গি নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে উরি অঞ্চলের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করে।তাদের লক্ষ্য ছিল নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে থাকা একটি সীমান্ত চৌকি বা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো। কিন্তু সীমান্তবর্তী টহলদারী ও স্থানীয় সেনা সদস্যদের তরফে তৎপরতার ফলে অনুপ্রবেশকারীদের পরিকল্পনা ধ্বংস হয়। সংঘর্ষের সময় পাকিস্তানের দিক থেকেও গুলি ছোড়া হয়, যার জেরে একজন সশস্ত্র জওয়ান প্রাণ হারান।
সংঘর্ষের ধরন ও সম্ভাব্য যোগসূত্র (Indian Army)
সেনা সূত্রে বলা হচ্ছে, এই অনুপ্রবেশের ধরন সাম্প্রতিক সময়ের অন্যান্য প্রচেষ্টার থেকে কিছুটা আলাদা ছিল—অর্থাৎ বেশি পরিকল্পিত এবং সীমান্তপারের সহায়তাসূচক কৌশল চোখে পড়েছে(Indian Army) । অতীতে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সক্রিয় বলে অভিযোগ থাকা বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট)-এর সহায়তা নিয়ে অনুপ্রবেশ চালানোর ঘটনাগুলোর সঙ্গে এ ঘটনাটির মিল থাকতে পারে বলে কিছু নিরাপত্তা সূত্র ইঙ্গিত করেছে। তবে অপর একটি সূত্র জানাচ্ছে, সরাসরি ব্যাটের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ নেই এবং ঘটনার প্রকৃততা নিরূপণে তদন্ত চলছে।

শেষ অবস্থা ও তল্লাশির কাজ (Indian Army)
সংঘর্ষের পরে খারাপ আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা পাকিস্তানের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে—সেনা সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। আঞ্চলিক সেনা ও গোয়েন্দা বিভাগ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি বাড়িয়েছে এবং আশপাশের জঙ্গল, গ্রাম ও সীমান্তরেখায় অভিযান চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে এলওসি-ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক অভিযান ও উত্তেজনা (Indian Army)
ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন উপত্যকায় সাম্প্রতিক বড়সড় কুশীলব অভিযান ও জঙ্গি নির্মূলযুদ্ধের ধারাবাহিকতা চলছে (Indian Army) । পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর চালানো অপারেশন সিঁদুর ও শ্রীনগরে পরিচালিত অপারেশন মহাদেব-এ জড়িত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের নিকেশের পরে দক্ষিণ কাশ্মীরে অপারেশন অখল নামে অভিযান শুরু হয়েছে। এসব অভিযানের প্রেক্ষিতে এলাকা জুড়ে নজরদারি ও টহল বাড়ানো হয়েছে—তাই সীমান্ত পার থেকে আবারও অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

প্রতিক্রিয়া ও গুরুত্ব (Indian Army)
সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন শহিদ জওয়ানের প্রতি শোকপ্রকাশ করেছে; কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ এবং প্রতিরক্ষা মহলও সংশ্লিষ্ট পরিবারকে সমবেদনায় উদ্যোগী হবে বলে জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানান, সীমান্তে এমন অনুপ্রবেশ-চেষ্টা দেশের প্রতিরক্ষার উপর যে চাপ তৈরি করে তা স্পষ্ট—সেই সঙ্গে গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের কার্যকারিতা ও সীমান্তপ্রহরীদের প্রস্তুতির গুরুত্বও বাড়ে।
ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বৈধ তদন্ত ও সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনও প্রতীক্ষিত; ততক্ষণ পর্যন্ত এলাকায় সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে এবং সম্ভাব্য পুনরাবৃত্তি রোধে আরও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।


